ট্যাগ আর্কাইভঃ The Recitation

পাঠ্যনীয়

মার্শাল ভিয়েন সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
1 এপ্রিল, 2011 এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে

ঈশ্বর আবারও কথা বলেছেন।

আমরাই বাণী হাজির করি। ঈশ্বরের ইচ্ছা আমাদের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়।

আমরা আপনার অনুমানের বাইরে, আপনার ধর্মীয় তত্ত্ব এবং আপনার ব্যক্তিগত জল্পনা থেকে বহুদূরে।

মানুষের কল্পনার জন্য নৈসর্গিক বিশ্বে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করে তা থেকে শুধুমাত্র মিথ্যা উদ্ভাবন করতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা এর বাইরে বিদ্যমান – কর্তৃত্ব এবং বুদ্ধির নাগালেরও বাইরে।

এটাই সত্য সমস্ত মহাবিশ্ব জুড়ে, জীবনের বৃহত্তর সম্প্রদায় যার ভেতর আপনি বাস করেন।

আমরা এই যুগের জন্য মহান বাণী নিয়ে আসি, সমস্ত মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা থেকে জন্ম, মানবতার সুরক্ষার জন্য, বিশ্বের পরিত্রাণের জন্য।

আমরা যাদেরকে আপনি বুঝতে পারবেন না। কিন্তু আমরাই হলাম উৎস এবং মাধ্যম যা মানবজাতির অবশ্যই স্বীকার করে নেওয়া আবশ্যক এবং নিজের পক্ষে যা করতে হবে, তা অবশ্যই দেখা উচিত, যা দেখা হয় নাই, তা অবশ্যই জানা উচিত, যা জানা হয় নাই, তা অবশ্যই করা উচিত, যা করা হয় নাই।

এটা এই যুগের জন্য বাণী। এখনই আবির্ভাব হওয়ার সময়।

পৃথিবীতে একজনকে পাঠানো হয়েছে এই বাণীকে গ্রহন করতে এবং মানব সচেতনতা আনতে, যা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

এই নতুন বাণী গ্রহণ করা মানে মানব পরিবারকে দেওয়া সর্বকালের সর্ববৃহৎ বাণী গ্রহণ করা।

পৃথিবীতে এটি উপস্থাপন করা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ, মেসেঞ্জারের জন্য একটি কাজ এবং সকলের জন্যে যারা যেখানে প্রয়োজন সর্বত্র এটির উপস্থাপনে সর্বোপরি তাঁকে সহায়তা করবে।

এটা সর্বত্র প্রয়োজন, মানবতা মহা বিপদের সম্মুখীন। এটি তার পরিবেশের ধ্বংস এবং অবনতির মাধ্যমে নিজের মৃত্যুর বীজ বপন করেছে – তার জলের, তার মাটির, তার বায়ুর – যেখানে পৃথিবী নিজেই পরিবর্তিত হচ্ছে, এমন একটি পরিবর্তন যা বিশ্বের মানুষের এবং মানব পরিবারের অত্যন্ত দুঃখ এবং দুর্দশা বয়ে নিয়ে আসবে।

মানবজাতি বুদ্ধিমান জীবের একটি মহাবিশ্বের সম্মুখীন। এটিকে এখনই প্রস্তুত করতে হবে, কারণ যোগাযোগ শুরু হয়েছে – দুর্বল এবং বিরোধপূর্ণ মানবতার সুবিধা নিতে সুযোগসন্ধানীদের দ্বারা যোগাযোগ শুরু হয়েছে। 

এটি একটি মহা পরিবর্তন এবং অনিশ্চয়তার সময়, যেখানে বিদেশী শক্তি প্রভাব অর্জনের চেষ্টা করবে এবং যেখানে মানবতা তার অজ্ঞতা, মূর্খতা এবং প্রশ্রয়ের শিকারে পতিত হবে।

বাণীটি অনেক বেশি বড় একটি বাক্যের মধ্যে বলা, কিন্তু এটি আপনাকে ঈশ্বরের নিকটবর্তী করবে এবং ঈশ্বর আপনাকে একজন ব্যক্তি হিসাবে এখানে কি করার জন্যে এখন পাঠিয়েছেন, যেটা আপনি আজ যা বিশ্বাস করেন এবং কল্পনা করেন তার চেয়ে অনেক ভিন্ন।

ঈশ্বর এই মহাবিশ্বের জন্য মানবজাতিকে প্রস্তুত করতে মহাবিশ্ব থেকেই বিজ্ঞতা উপনীত করেছেন।

ঈশ্বর একটি বিশুদ্ধ রূপে আধ্যাত্মিকতার নির্যাস উপনীত করেছেন – অতীত ও মানবিক কৌশল থেকে বিষাদমুক্ত, মানব রাজনীতি, অভিলাষ এবং দুর্নীতি হতে মুক্ত।

আমরা জ্ঞানের ধাপগুলি নিয়ে এসেছি যাতে আপনি গভীর মনটাকে জানতে পারেন যেটা ঈশ্বর আপনাকে ক্রমবর্ধমান বিপন্ন বিশ্বে পথনির্দেশনার জন্য আপনার মধ্যে স্থাপন করেছেন।

মহান দুর্বিপাক এখন ঘটবে এবং মানবজাতির অজ্ঞতা এবং এই পৃথিবীর অধিকব্যবহার এবং অপব্যবহারের কারনে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটতে শুরু করেছে।

এটি হিসাব নিকাশ করার একটি সময়, দায়িত্ব গ্রহনের একটি সময়, নির্বোধতা এবং অহংকারের অবসান ঘটানোর একটি সময়।

শুধু ঈশ্বরই জানেন কি আসছে।

এবং আমরা বাণীটি উপনীত করেছি – একটি হাজার বাণীর একটি বাণী, একটি হাজার শিক্ষার একটি বাণী, একটি মহান বাণী যা আপনার বাকি সময় ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট এমন একটি বাণী, মানব প্রচেষ্টা, শক্তি এবং সচেতনতা পুনঃনির্দেশ করার জন্য যথেষ্ট একটি বাণী যাতে মানবজাতি তার অতীতের চেয়ে আরও সুন্দর ভবিষ্যত পেতে পারে, যাতে মানবজাতি পরিবর্তনের বিশাল ঢেউ এবং আপনার চারপাশের মহাবিশ্বের হস্তক্ষেপ এবং প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে।

অতএব শুনে রাখুন, আপনার ধারণা, আপনার বিশ্বাস বা আপনার বিবেচনার দ্বারা নয়, কিন্তু গভীর মনের মাধ্যমে ঈশ্বর আপনাকে শুনতে, দেখতে, জানতে এবং আরও নিশ্চিততার সাথে কাজ করার জন্য অনুমোদন করেছেন ।

আমাদের কথাগুলি জল্পনা বা বিতর্কের জন্য নয়। এটা নির্বোধের আখাংকা, যে শুনতে পারে না এবং দেখতে পারে না।

আপনি ঈশ্বরের বাণীর আতঙ্কগ্রস্ত, কারন এটা আপনার জীবন পরিবর্তন করবে। কিন্তু আপনি ঈশ্বরের বাণী চান, কারন এটা আপনার জীবন পরিবর্তন করবে।

এটা আপনার অন্তরের দ্বন্দ যা আপনাকে অন্ধ করে। এটি এমন একটি উদ্দেশ্য যা একে 

অপরের বিপরীতমুখীতে চালনা করে যা আপনাকে বিভ্রান্তির অবস্থানে রাখে এবং আপনাকে দেখার অনুমতি দেয় না।

আমরাই যারা বিশ্বে সবগুলি ঈশ্বরের বাণী উপনীত করেছি।

ঈশ্বর কথা বলেন না। ঈশ্বর একজন ব্যক্তি বা একজন মহিমাময় বা একজন বিশিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব বা একজন একক সচেতনতা নয়। এইরকম চিন্তা করার অর্থ সৃষ্টিকর্তাকে অবমূল্যায়ন করা এবং নিজেকে অতিমাত্রায় প্রকাশ করা।

আমরা যিশু এবং বুদ্ধ, মুহাম্মদ এবং অন্যান্য শিক্ষক ও দার্শনিকদের সাথে কথা বলি যারা যুগে যুগে যুগোপযোগী স্বচ্ছতা নিয়ে এসেছেন – প্রত্যেক যুগের নবীগনের কাছে এবং ম্যাসেন্জারগণের কাছে যাঁরা মানবতার শুধুমাএ সংকটময় সন্ধিক্ষণে আসেন।

আপনি আমাদের উপাসনা করতে পারেন না। আপনি আমাদের নাম জানবেন না।

আপনাকে এখন অবশ্যই দায়িত্ববান হয়ে উঠতে হবে এবং সৃষ্টিকর্তা আপনাকে যে দক্ষতা এবং শক্তি দিয়েছে পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান চাহিদা, অশান্তি এবং চরম বিশৃঙ্খলার একটি বিশ্বকে সেবা দেওয়ার জন্য তা ব্যবহার করুন।

যদি আপনি এখানে যা সম্পাদন করতে পাঠিয়েছেন তা করতে অনিচ্ছুক হন, যদি আপনি আপনার জ্ঞানের ধাপগুলি গ্রহণ করতে না পারেন, যদি অহংকারবশতঃ চিন্তা করতে পারেন যে আপনি আপনার ভাগ্য এবং আপনার নিয়তি এবং পরিপূর্ণতা নির্ধারণ করতে পারবেন, তবে নিজেকে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রণত করবেন না।

ভণ্ডামি করবেন না। অবনত হবেন না এবং ঐ ঈশ্বরের উপাসনা করবেন না যাকে আপনি পরিবেশন করতে পারবেন না বা সেবা করবেন না।

এমন একটি উপাস্যের উপাসনা করা যাকে আপনি সেবা করতে পারেন না, তার চেয়ে ভাল আপনার স্ব-নির্ধারিত জীবনযাপন এবং এর সমস্ত বিপদের মুখোমুখি হওয়া।

এবং যদি আপনি ঈশ্বরের বাণীর সাড়া দিতে না পারেন, তাহলে এখন আপনি এখানে কি করছেন?

প্রত্যেক মেসেঞ্জারকে অত্যাচার করা হয়েছে। প্রতিটি ম্যাসেন্জারকে ভুল বোঝা হয়েছে। প্রতিটি নতুন বাণীকে প্রতিহত এবং অস্বীকার এবং বিতর্কিত করা হয়েছে।

এখন এই জন্য আর কোন সময় নেই। আগামী ২0 বছরে মধ্যে মানবতার ভাগ্য নির্ধারিত হবে – বিশ্বের অবস্থা, মানব পরিবারের অবস্থা, ভাগ্য এবং মানব সভ্যতার ভবিষ্যৎ।

আপনি বিশ্বের এমনকি মহাবিশ্বের মধ্যে অবশ্যই আর একা নন। আপনি জানেন না কি ঘটছে এবং দিগন্তের উপরে কি আসছে কারণ আপনি দেখতে খুবই ভীত এবং খুব অহংকারী, আপনি অনুমান করছেন যে আপনি জানেন। সেইজন্যই ঈশ্বরের বাণী আপনাকে অবশ্যই অর্পণ করতে হবে দেখার জন্যে যা আপনি দেখতে পাচ্ছেন না এবং জানেনও না মানুষের ধারণা এবং অনুমানের তদতিরিক্ত। এসব নতুন বাণীর সব শিক্ষার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এই হল নতুন বাণী। এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম মানে আপনি আপনার নিজের স্বীকৃতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম।

সৃষ্টিকর্তা আপনাকে যে বৃহওর মন এবং যে বৃহওর শক্তি দিয়েছেন তা আপনাকে অবশ্যই জানাতে হবে।

প্রতিটি ধর্মেই শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু প্রতিটি ধর্মের দ্বারাই আচ্ছাদিত এবং অস্পষ্ট হয়েছে, যা এখন স্বীকৃত দেওয়া আবশ্যক।

ঈশ্বর পৃথিবী পরিচালনা করছেন না। ঈশ্বর বিপর্যয়, ঝড়, ভূমিকম্প, বন্যা, খরা সৃষ্টি করছেন না।

মানবতা পরিবর্তিত একটি বিশ্বকে কীভাবে মোকাবেলা করে তা দেখার জন্যে ঈশ্বJর পর্যবেক্ষন করছেন – একটি নতুন বিশ্ব, একটি নতুন এবং অনিশ্চিত বিশ্ব।

মানবজাতি মহাবিশ্বে জীবের একটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে উদীয়মান হচ্ছে কারণ অন্যরা এখানে এই অসাধারণ মুল্যবান এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি পৃথিবীতে প্রভাব ও কর্তৃত্ব সন্ধান করতে এসেছে।

কিন্তু মানুষ দেখতে পায় না। তারা শোনে না। এবং যদি তারা একবার চিন্তা করে, তবে তাদের ধারণা এবং তাদের বিশ্বাসগুলিকে নিশ্চিত করে, এমন একটি উপলব্ধি তৈরি হয়।

তাই মানুষ দেখতে পায় না। জাতি প্রস্তুত নয়। অতঃপর ধ্বংসাত্মক আচরণ চলতেই থাকে।

আমরা বিশ্বের উপর নজর রাখি। আমরা অনেক দীর্ঘ সময় ধরে পর্যবেক্ষক করে আসছি।

আমরা তারা যাদেরকে ঈশ্বর মানবজাতির বিকাশ ও বিবর্তনকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য পাঠিয়েছেন এবং বাণীগুলি গ্রহন করে পরে ম্যাসেন্জারগণকে প্রদান করার জন্য, অন্তর্দৃষ্টি গ্রহন করে নবীগণকে প্রদান করার জন্য, সতর্কবার্তা, আশীর্বাদ প্রদান এবং এইবার আপনার বিশ্বের জন্য আপনার অতীতের অসদৃশ অভিজ্ঞতার একটি প্রস্তুতি প্রদান, এবং যেখানে ভবিষ্যতের জন্য মানবজাতি নিজেদেরকেই বৃহত্তর সম্প্রদায়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে।

মানবজাতি তৈরি করেছে যে সমস্যা তা শেষ করে বা তার বিবর্তনের স্বাভাবিক অংশ হিসাবে যে সমস্যার মুখোমুখি হওয়া উচিত তা শেষ করে ঈশ্বর মন্দতাকে দূর করে মানবজাতিকে রক্ষা করবেন না।

এই ব্যাপারে ভাবা মানে স্বর্গের সাথে আপনার সম্পর্ককে ভুল বুঝা, যেমন আপনি এখন বিচ্ছিন্নাবস্থায় বাস করছেন।

কিন্তু বিচ্ছেদ কখনও শেষ হয়নি কারণ আপনার একটি অংশ যা এখনও ঈশ্বরের সাথে সংযুক্ত।

এইটাকে আমরা বলি জ্ঞান। এবং আপনার ব্যক্তিগত জীবনের ফলাফল – আপনার জীবনের অর্থ এবং মূল্য – এবং মানবতা একটি নতুন পরিস্থিতির মধ্যে একটি নতুন পৃথিবী প্রস্তুত, উপযোগী এবং তৈরি করতে পারে কিনা তার নিষ্পত্তিমূলক কারন হতে এটি প্রমাণিত হবে।

মানবজাতির কাছে এমন একটি বাণী আগে কখনও দেওয়া হয়নি, কারণ এটার প্রয়োজন ছিল না।

আপনি বিশ্বে একটি সভ্যতা তৈরি করেছেন। অকার্যকর এবং বিভক্ত এটি, কিন্তু এটি একটি সভ্যতা।

আপনি আপনার জাতির এবং সংস্কৃতির মধ্যে ক্রমবর্ধমান পারস্পরিক নির্ভরশীল হয়ে উঠেছেন। এটিই সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্য ছিল, কারণ এটি মানবতার এবং মহাবিশ্বের সব বুদ্ধিমান জাতির প্রাকৃতিক বিবর্তন।

এখন আপনাকে অবশ্যই পরবর্তী বিশাল দ্বারপ্রান্তের মুখোমুখি হতে হবে-একটি পতনশীল বিশ্ব, হ্রাসপ্রাপ্ত সম্পদের একটি বিশ্ব, ক্রমবর্ধমান পতনশীল স্থিতিশীলতা, খাদ্য ও পানি হ্রাসের এক জগত, এমন একটি পৃথিবী যেখানে একটি ক্রমবর্ধমান মানবতা বিশ্বের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। এইসব কারনে আপনার নতুন বাণীর প্রয়োজন।

সৃষ্টিকর্তার অতীত বাণীগুলি আপনাকে পরিবর্তনের বিশাল ঢেউগুলোর জন্য প্রস্তুত করতে পারবে না। সেগুলো বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে আপনার নিয়তির জন্য আপনাকে প্রস্তুত করতে পারবে না। সেগুলো আপনার উপর এখন এবং ক্রমবর্ধমান আপনার উপর যে বিশাল প্রারম্ভ তার জন্য প্রস্তুত করতে পারবে না।

আপনি এই জিনিসগুলোর মোকাবেলায় আপনার কাছে সমাধান নেই। সেই কারণেই বাণীটি দেওয়া হচ্ছে। মানবতার জন্য এখন উপদেশ দেওয়া এবং সতর্ক করা, আশীর্বাদ করা এবং অতীতের অসদৃশ একটা ভবিষ্যতের প্রস্তুতি দেওয়া প্রয়োজন।

এই কথাগুলো শুনুন, আপনার বুদ্ধিবৃত্তির দ্বারা নয় কিন্তু আপনার হৃদয়ে দ্বারা। তারা আপনার মধ্যে একটি মহান সত্যের সাথে কথা বলে – তত্ত্ব, বিশ্বাস এবং ধারনার চেয়েও অধিক সত্য।

তারা আপনার মধ্যে একটি প্রাকৃতিক অনুরণনের সাথে কথা বলে, একটি প্রাকৃতিক সম্বন্ধ, একটি প্রাকৃতিক প্রবণতা, একটি প্রাকৃতিক প্রবৃত্তি যা আপনার মধ্যে প্রতি মুহূর্তেই প্রাণবন্ত, পরিসরের বাইরে এবং বুদ্ধিবৃত্তির নাগালের বাইরে।

আপনি অপ্রস্তুত। ঈশ্বর প্রস্তুতি পাঠিয়েছেন।

আপনি অজ্ঞাত। ঈশ্বর সচেতনতা প্রদান করছেন।

আপনি অনিশ্চিত। ঈশ্বর আপনাকে আপনার মধ্যে নিশ্চয়তার কেন্দ্রের প্রতি আহব্বান করছেন।

আপনি দ্বন্দ্বে ভূগছেন। ঈশ্বর দ্বন্দ্ব থেকে বের হওয়ার পথ প্রদান করছেন।

আপনি নিজেকে হেয় করছেন এবং অন্যদেরকেও হেয় করছেন। ঈশ্বর আপনার প্রতি বিশ্বে আপনার প্রকৃত মান এবং উদ্দেশ্য প্রত্যর্পণ করছেন।

পৃথিবী পরিবর্তন হচ্ছে, কিন্তু আপনি দেখতে পাচ্ছেন না। আল্লাহ আপনাকে দেখার জন্য চোখ এবং শোনার জন্য কান দিয়েছেন, কিন্তু আজকে যা করছেন এবং আজকে যা বুঝতে পাচ্ছেন তার থেকে সেগুলো ভিন্ন।

মানবতা নতুন বাণী ছাড়া ব্যর্থ হবে। এই বাণী ছাড়া পৃথিবী সবচেয়ে বেশি অন্ধকার, আরও অধিক বিপজ্জনক এবং সাংঘর্ষিক হয়ে উঠবে।

মানবতা তার ভুল এবং স্বচ্ছতার অভাবের মুখোমুখি হবে এবং ব্যর্থ হবে।

বিশ্বের সম্পদ দ্বন্দ্ব, প্রতিযোগিতা এবং যুদ্ধের মাধ্যমে ব্যয় করা হবে। মানুষ তাদের সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে উঠবে। মানুষ একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদি হয়ে উঠবে।

ভবিষ্যতে অবর্ণনীয় দ্বন্দ্ব হবে, আপনি অতীতে যা দেখেছেন তার চেয়ে আরও অনেক বেশি এবং আরও অনেক ক্রমাগত।

এটি এমন একটি নতুন বাণী যা আপনার বোঝার অনুপস্থিত উপাদানগুলিকে ধারণ করে, আপনার সচেতনতার অপরিহার্যতা এবং আপনার ক্ষমতা, শক্তি এবং দৃঢ়তার উৎস।

এর জন্য আপনার অবশ্যই একটি আন্তরিক মন থাকা উচিত, আপনার জীবনকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করুন এবং আপনার জীবনের বৃহত্তর চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তাগুলিতে পরিচর্যা করতে শুরু করুন।

এ কারণেই ঈশ্বর বাণীটি পাঠিয়েছেন।

এই হল বাণী। আমরাই হলাম বাণী।

এখন উপাসনা করার জন্য কোন হিরো নেই, কাউকে দেবতুল্য করার নেই, শুধুমাত্র অধিক দায়িত্ব গ্রহণ করা এবং আরও বেশি বিজ্ঞতা ব্যবহার করা।

ব্যক্তিগত দীপ্তি প্রাপ্তির দ্বারা কোন অব্যাহতি নেই। পালাবার কোন পথ নেই।

কোন আত্ম-প্রতারণা নেই। শুধুমাত্র বৃহত্তর অনুরণন এবং দায়িত্ব, বৃহত্তর ত্যাগ এবং অবদান।

এটাই যা বিশ্বকে রক্ষা করবে। এটাই একটি মহাবিশ্বে মানবতার স্বাধীনতা এবং আত্মনির্ভরতা রক্ষা করবে যেখানে স্বাধীনতা খুবই বিরল এবং খুব সাবধানে সংরক্ষণ করতে হবে।

এটাই ব্যক্তিবিশেষের মর্যাদা পুনঃস্থাপন করবে এবং বৃহত্তর শক্তিশালী এবং তাত্পর্যপূর্ণ কিছু অবদান রাখতে পারবে, আপনার পরিস্থিতি যাই থাকুক না কেন।

এই কথাগুলো শুনুন-আপনার ধারনা, আপনার বিশ্বাস বা আপনার যুক্তি দিয়ে নয়, বরং আপনার হৃদয়, আপনার গভীর প্রকৃতির দিয়ে।

ঈশ্বর আপনার মধ্যে যা তৈরি করেছেন শুধুমাত্র তার সাথে কথা বলতে পারেন। ঈশ্বর আপনার সামাজিক ব্যক্তিত্ব তৈরি করেন নাই। ঈশ্বর আপনার ধারনা এবং বিশ্বাস তৈরি করেন নাই। ঈশ্বর আপনার সিদ্ধান্ত, আপনার ব্যর্থতা এবং আপনার অনুশোচনা তৈরি করেন নাই।

ঈশ্বর আপনার মধ্যে যা তৈরি করেছিলেন শুধুমাত্র তার সাথে কথা বলতে পারেন, যা আপনার মধ্যে গভীর একটা-কিছু, আরো বিস্তৃত এবং আরো প্রাকৃতিক।

নতুন বার্তা আপনার প্রতি আহ্বান করছে। একবার আপনি এটি সম্পর্কে সচেতন হয়ে গেলে, আপনাকে অবশ্যই স্বীকৃতির চ্যালেঞ্জ এবং আপনার জীবনের জন্য এটি কী অর্থ বহন করে তার মুখোমুখি হতে হবে।

মানুষ বাণীকে প্রত্যাখ্যান করে কারণ তারা পরিবর্তন চায় না। তারা সমাজে তাদের বিশ্বাস, তাদের ধারণা এবং তাদের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করতে চায় না।

তারা সত্যিই নতুন বাণীর সাথে বিতর্ক করতে পারে না। তারা কেবল এটিকে এড়াতে পারে এবং তাদের পূর্বের বিনিয়োগ এবং নিজেদের ধারণাগুলি সুরক্ষিত রাখতে এটির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।

কৌতুহলী ভিত্তি ব্যতীত সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা ও প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে কে বিরোধিতা করতে পারে?

এখানে আপনি প্রতিটি ব্যক্তির উভয় সংকটের মুখোমুখি দেখতে পাবেন। তারা নিজেদের সাথে থাকতে সত্যিই কতটা ন্যায়বান, তারা কি দেখে এবং জানে? তারা আসলে নিজেদের, তাদের পরিস্থিতি এবং তাদের আশেপাশের বিশ্বের সম্পর্কে কতখানি সচেতন হতে ইচ্ছুক? তাদের নিজেদের জীবনের ভারসাম্য আনতে এবং আগে যে কঠিন সিদ্ধান্তগুলি নিতে ব্যর্থ হয়েছে সেগুলির জন্য তারা কতটা দায়ী হতে ইচ্ছুক?

এখানে আপনি বুদ্ধিজীবীকে এক ধরনের ঈশ্বর হিসাবে জাহির করতে দেখবেন যখন প্রকৃতপক্ষে এটি একটি বিলাসী দাস। এটাই তার উদ্দেশ্য এবং তার পরিকল্পনা।

এখানে আপনি দেখবেন অহংকার এবং অজ্ঞতা ঘনিষ্ঠভাবে মিলিত হয়ে একটি স্ব-প্রতারণামূলক রুপ নেবে যা অনেক মানুষ মেনে চলবে।

আপনি দেখতে পাবেন কোনটি মহান এবং কোনটি নগণ্য, কোনটি শক্তিশালী এবং কোনটি  দুর্বল, কোনটা সত্য এবং কোনটা মিথ্যা, কোনটি মূল্যবান এবং কোনটি কেবল মূল্যবান বলে দাবি করে।

এই বাণী সবকিছু প্রকাশ করে।

এটা আপনার ভিতরে যা মহান তাকে অনুসরণ এবং যা নগণ্য তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আহ্বান করে। এটা এই বিষয়ে মধ্যবর্তি কোনোকিছু বলে না।

আপনার সবকিছু থাকতে পারে না। আপনার ভবিষ্যত এবং আপনার অতীত একসঙ্গে থাকতে পারে না কারণ তারা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

এটি কেবল হতাশা এবং ব্যর্থতার মাধ্যমে আপনি দেখবেন যে আপনি যেরকম জীবনযাপন করার অভিপ্রেত করেছিলেন সেভাবে জীবনযাপন করছেন না এবং আপনি নিজের প্রতিও  সত্যবাদী এবং বিশ্বস্ত নন এবং অন্যদের সাথেও সত্যবাদী এবং বিশ্বস্ত নন – হিসেবের একটি সময়ে, উপলব্ধির একটি সময়ে, অভিব্যক্তর একটি সময়ে একটি কঠোর কিন্তু অপরিহার্য ফয়সালা।

এই কথাগুলো শুনুন – আপনার ধারনা, আপনার অনুমানের সাথে নয়, আপনার প্রতিরক্ষার দ্বারা নয়, অহংকার, গর্ব বা মূর্খতার সাথে নয়, বরং আপনার গভীর প্রকৃতির দ্বারা, যা আপনার প্রতি অবশ্যই প্রতিভাসিত হবে।

प्रवचन

श्रीमानमार्शलसमर्सने
इसेआकाशीयतरंगोंसेमानवभाषामेंअवतरितकियाहै
दिनांक१अप्रैल२०११, बोल्डर, कोलोराडोमें
परमात्मा ने फिर पुकारा है

इस सन्देश को पृथ्वी वासियों तक हम लेकर आये हैं। हम इस सन्देश में ईश्वर की इच्छा के बारे में बात करेंगे।

आप हमें नहीं जानते, न ही आपकी बुद्धि, आपके अनुमान और आंकलन, न ही आपके मज़हबी सिद्धांत आपकी सहायता करेंगे हमें पहचानने के लिए।

क्योंकि मनुष्य कल्पना संसार की वस्तुओं तक ही सीमित है जबकि सचाई इसके पार है, असलियत आपकी बुद्धि की पहुँच और क्षेत्र के बाहर है।

यह सत्य पूरे ब्रह्माण्ड में व्यापक है, आप का जीवन भी ऐसी ही ब्रह्माण्ड बिरादरी का हिस्सा है ।

यह महान सन्देश विशेषत: वर्तमान समय के लिए संपूर्ण ब्रह्माण्ड के रचने वाले ईश्वर द्वारा रचा गया है, इसका उद्देश्य है मानवता की रक्षा व् उद्दार करना।

आप बुद्धि से हमें समझ न पाएंगे। क्योंकि हम माध्यम हैं स्त्रोत के लिए, हम ऐसे तथ्य आपके सामने रखेंगे जिन्हें आपको मान्यता देनी होगी, और उन्हें स्वय से अमल में लाना होगा, आपको वह देखना होगा जो आप ने अब तक नहीं देखा, आपको वो जानना होगा जिससे आज तक आप अनजान थे, वो सब करना होगा जो आप ने आज तक नहीं किया।

हमारा सन्देश आप के विशेष वर्तमान समय के लिए है। और हम कुछ रहस्यों को उजागर करने जा रहे हैं।

एक मनुष्य को इसी कार्य हेतु भेजा गया है, ताकि इन रहस्यों को आपके सामने लाया जा सके, इस मनुष्य का काम आपको जागरूक करना है, यह अत्यंत महान कार्य है।

नूतन दिव्य सन्देश को मानवता तक पहुँचाना एक बहुत ही महान कार्य है क्योंकि मनुष्य इतिहास के सबसे बड़े रहस्य पृथ्वी वासियों के सामने उजागर करने का समय आ गया है।

दिव्य सन्देश को मानवता तक पहुँचाना अत्यंत महान कार्य है, सन्देश वाहक के लिए और उन सब के लिए जो इसमें सहायता देंगे और इसका प्रसार प्रचार करेंगे।

क्योंकि मानवता के सामने संकट का समय है, इसीलिए इस सन्देश की ज़रुरत है। मानव जाती ने पर्यावरण की बर्बादी व् दुर्दशा के द्वारा अपनी ही समाप्ति के बीज बोये हैं, जल, भूमि एवं हवा संसाधनों के दुरूपयोग से आपकी दुनिया में बड़े बदलाव आ रहे हैं, ये ऐसे बदलाव हैं जिनसे मानव जाती के समक्ष परीक्षा कि घडी है, और साथ साथ पीड़ा की भी सम्भावना है।

मानवता का सामना ब्रह्माण्ड में बसे अन्य ग्रहों के प्राणियों से होने जा रहा है, जो अत्यंत बुद्धिमान हैं। मानवता को इस संपर्क के लिए तैयार होना पड़ेगा, इस संपर्क की शुरुआत हो चुकी है, संपर्क करने वाले अन्य ग्रह वासी पृथ्वी की कमज़ोरियों में और टकराव में एक अवसर देख रहे हैं।

आपके सामने एक बड़े बदलाव और अनिश्चितता का समय है, जहाँ बाहरी ताकतें पृथ्वी पर अपना प्रभाव बनाना चाहती हैं, और सम्भावना है कि मनुष्यता अपनी ही नादानी, बेवकूफी और विलासिता के कारण विनाश का शिकार बने।

यह सन्देश एक वाक्य में नहीं समां सकता, पर यह आपको परमात्मा के करीब लाएगा, परमात्मा ने आपको व्यक्ति के तौर पर, दुनिया में जिस विशेष कार्य के लिए भेजा है, उसे जानने में आपकी सहायता करेगा, शायद आपको अपनी इस नियति का पूरा ज्ञान नहीं है।

पृथ्वी के पार फैले अस्तित्व की बुद्धिमता का ज्ञान ईश्वर ने इस सन्देश के माध्यम से आपके सामने रखा है, ताकि आप पृथ्वी के पार की दुनिया के लिए तैयार हो सकें ।

परमात्मा ने अध्यात्म का शुद्ध सारांश – जो इतिहास से अबाधित है, मानव चालबाज़ी से अनछुआ है, राजनीतिक संकल्पों और भ्रष्टाचार से मुक्त है, इस सन्देश के माध्यम से आपके सामने रखा है।

‘परम ज्ञान की ओर कदम’ इस प्रवचन श्रृंखला के अध्ययन से आप अपने भीतर के उस हिस्से से जुड़ पाएंगे जो परमात्मा ने आपके भीतर रखा है व् जो इस कठिन समय में आपका मार्ग दर्शन करेगा।

प्राकृर्तिक संसाधनों के अपव्यय एवं मनुष्य नादानी के कारण भीषण उथल पुथल आपके संसार में होने जा रही है, इसकी शुरुआत हो चुकी है।

इसलिए समय है कि अहंकार व् मूर्खता को त्याग कर, अपना आंकलन करें, और ज़िम्मेदारी के साथ आगे बड़े।

सिर्फ ईश्वर ही जानते हैं कि कैसा समय आने वाले वर्षों में आपके सामने होगा।

हमारे इस सन्देश में हज़ारों सन्देश छुपे हुए हैं, हज़ारों शिक्षाएं सम्मिलित हैं, यह सन्देश इतना व्यापक है कि इसे पड़ने व् समझने में आपको अपनी बाकी उम्र खर्च करनी पड़े, यह आपको एक उज्वल भविष्य जो आपके अतीत से बेहतर हो – बनाने में आपका मार्गदर्शन करे, व आप आने वाले विशाल बदलाव की लहरों को देख सके और उनसे बच सके और अन्य गृह वासियों के हस्त-क्षेप व् प्रतिस्पर्धा का सामना कर पाए, ऐसी सम्भावना है।

इसे समझने के लिए अपने विचारों और विश्वासों को त्यागना होगा, इसे समझने के लिए अपने गहनतम परतों से जुड़ना होगा, जो ईश्वर ने आपके भीतर रखे हैं। अपने भीतर के परम ज्ञान से जुड़ने के बाद आप इसे समझ पाएंगे, संसार को सही अर्थों में देख पाएंगे, और अधिक निश्चय के साथ कार्य कर पाएंगे।

हमारे शब्दों का उपयोग तर्क वितर्क के लिए न करें, अगर आप ऐसा करते हैं तो अपनी मूर्खता एवं विलासिता को बढ़ावा देंगे।

आप इस आकाशवाणी से भयभीत हैं, क्योंकि यह आपके जीवन को बदलने की क्षमता रखती है। पर आप इस आकाशवाणी को चाहते भी हैं, क्योंकि इसीसे आपके जीवन में बदलाव आ सकता है।

अगर आप देख नहीं पा रहे हैं तो इसका कारण आपके मन का द्वन्द है। आपके मन में भिन्न भिन्न इरादे हैं जो एक दूसरे से मेल नहीं खाते पर विरोधी दिशा में आपको ले जाना चाहते हैं, यही आपके द्वन्द के कारण हैं।

इस ईश्वरीय आकाशवाणी को संसार में लाने के लिए हमें माध्यम बनाया गया है।

क्योंकि परमात्मा बातें नहीं करते हैं, क्योंकि वो एक व्यक्ति या शख्सियत नहीं हैं, न ही वो पृथक अभिव्यक्ति हैं। ईश्वर को इस तरह देखना ऐसा ही है जैसा उसे छोटा समझना और अपने आप को बड़ा समझना।

हम ने ही मुहम्मद, जीसस व् बुद्धा और अन्य गुरुओं – जिन्होंने विभिन्न युगों में मानवता को नयी राह दिखाई – हर समय काल में पैगंबरों व् ईश्वर दूतों को सन्देश दिया था । इस तरह के लोग सिर्फ ऐसे समय पर जन्म लेते हैं जब पृथ्वी महान मोड़ पर से गुज़रती है ।

आप हमें पूज नहीं पाएंगे, आप हमारे नाम तक नहीं जानते ।

आवश्यकता इस बात की है कि आप अपनी ज़िम्मेदारी को समझें एवं अपना हुनर एवं शक्ति जो परमात्मा ने आपको दिए हैं, उन्हें संसार की सेवा में उपयोग करें, आप के संसार में तेज़ी से आवश्यकताएं, अशांति और उथल-पुथल फ़ैल रहे हैं।

परमात्मा को दंडवत प्रणाम न करें अगर आप वो सब कुछ नहीं कर रहे हैं जिसके लिए आप का जनम हुआ है या अगर आपको ये अहंकार है कि आप स्वंय अपना भाग्य व् नियति बना सकते हैं या पूर्ण संतुष्टि प्राप्त कर सकते हैं या अगर आप परम ज्ञान की शिक्षा पाना नहीं चाहते, तो परमात्मा को दंडवत प्रणाम करने से कोई नतीजा नहीं निकलेगा।

डोंगी न बनें। यदि आप ईश्वर के इस कार्य में सहयोग नहीं करना चाहते तो ईश्वर की पूजा न करें या पूजा करने का ढोंग न करें ।

इस से बेहतर है कि अपनी स्वंय निर्धारित ज़िन्दगी जीएं, स्वय जीवन के सब संकटों का सामना करें, बजाय इसके कि ईश्वर की पूजा करें जिस ईश्वर के आप काम न आ सकें।

अगर आप इस सन्देश के प्रति संवेदनशील नहीं हैं, तो इस समय आप क्या कर रहे हैं ?

इससे पहिले भी हर सन्देश वाहक को कष्ट दिया गया है। हर सन्देश वाहक को गलत समझा गया है। हर नयी आकाशवाणी का विरोध हुआ, नाकारा गया और संदेह के साथ देखा गया।

इस बार ऐसा कुछ करने के लिए समय नहीं है। मानव जाती का भाग्य आने वाले बीस सालों में निर्धारित होगा – बीस सालों में दुनिया की स्थति, मानव जाती की स्थति एवं मानव सभ्यता की दिशा निर्धारित होने जा रही है।

ब्रह्माण्ड में आप अकेले नहीं हैं, न ही विश्व में अकेले हैं। आप को ज्ञात नहीं है कि क्या हो रहा है और क्या होने जा रहा है, क्योंकि आप भयभीत हैं, अहंकार से भरे हैं, और ये सोच रहें हैं कि सब जानते हैं। इसलिए यह ज़रूरी है कि आकाशवाणी आप तक पहुंचे, आप जानें कि आप क्या नहीं देख रहे हैं, आप की समझ मनुष्य अनुमान तक ही सीमित है। यह धागा नूतन दिव्य सन्देश के पूर्ण भागों में पिरोया हुआ है।

यदि आप नूतन दिव्य सन्देश को अनदेखा करते हैं, तो अपने ही विवेक से संघर्ष करेंगे, यही नूतन दिव्य सन्देश है।

ईश्वर ने आपको उच्च बुद्धि प्रदान की है और उच्च सामर्थ्य भी दिया है, यह ज्ञात रखें।

यह तथ्य हर धर्म ने सिखाया है, पर हर धर्म ने इसे छुपा भी दिया है और यह तथ्य छुपा हुआ है, समय आ गया है कि इसे पहचानें और मान्यता दें।

आपकी दुनिया का संचालन परमात्मा नहीं कर रहे हैं, प्राकृतिक विपदा, तूफ़ान, भूकंप, बाड़, अकाल – ये सब परमात्मा नहीं रच रहे हैं।

ईश्वर सिर्फ देख रहे हैं कि पृथ्वी वासी इस बदले हुए संसार का सामना कैसे करेंगे, जबकि बदलाव इतना तीव्र है कि आने वाले समय के बारे में अनुमान लगाना मुश्किल है।

मानव समाज ब्रह्माण्ड में अपनी बिरादरी (अन्य ग्रह वासी) से अवगत होने जा रहा है, क्योंकि इस बिरादरी में से कुछ प्राणी आपके संसार में अपना प्रभुत्व बनाने की कोशिश करेंगे क्योंकि आपका संसार उनके लिए महत्वपूर्ण और उपयोगी है।

पर कुछ लोग देख नहीं रहे, सुन भी नहीं रहे। और अगर ऐसे लोग कभी सोच विचार भी करते हैं तो सिर्फ ऐसी ही समझ बनाएंगे जो उनके पूर्व धारणाओं से मेल खाये।

क्योंकि लोग देख नहीं रहे हैं, इसीलिए देश तैयारी नहीं करते, और उनका विनाशकारी आचरण चल रहा है।

हम आपके विश्व पर नज़र रखते हैं। ऐसा हम एक लम्बे समय से करते आ रहे हैं।

परमात्मा ने हमें चुना है मानवता का निरिक्षण करने के लिए, ताकि मानव जाती विकास की ओर बढ़ सके। परमात्मा हमें ऐसी अंतर्दृष्टि देते हैं जो हम सन्देश वाहकों एवं पैगम्बरों को दिया करते हैं, ताकि समय रहते आपको सचेत किया जा सके, आपको तैयार किया जा सके और आपको आशीर्वाद भी दी जा सके, क्योंकि जल्द ही आपका मुक़ाबला महान समाजों (अन्य गृह वासियों के साथ) से होने जा रहा है।

परमात्मा मानव जाती को बचाने के लिए विपदा को समाप्त कर दें ऐसा नहीं होगा। समस्याएं जो आपने बनाई हैं या समस्याएं जिन्हें आप प्राकृर्तिक विकास यात्रा के अंतर्गत अपने सामने पाएंगे, ऐसी समस्याओं का समाधान आप को ही ढूंढना पड़ेगा।

अगर आप सोच रहे हैं कि परमात्मा इन परेशानियों से आपको बचाने आएंगे तो ये आपकी ग़लतफ़हमी है, इस प्रकार की सोच ये दर्शाती है की आप अपने भीतर के परम ज्ञान से जुदा हैं, जो कि सत्य नहीं है।

परम तत्व से अलग आप कभी नहीं थे न ही अलग हैं, आपका एक हिस्सा अब भी उस तत्व से जुड़ा हुआ है।

हम इसे परम ज्ञान कहते हैं। आपके जीवन में यह निर्णायक अंग साबित होगा। आपके व्यक्तिगत जीवन का मूल्य और उपयोगिता आप ढूंढ पाएंगे कि नहीं ये इसी पर निर्भर करेगा। मानवता खुद को समय के अनुरूप डालने के लिए तैयार है कि नहीं एवं बदलाव के द्वारा नए संसार की रचना करने की ताक़त है कि नहीं – ये सब इसी पर निर्भर करेगा।

इससे पहले मनुष्य जाती के इतिहास में ऐसे रहस्योद्घाटन कभी नहीं किये गए, क्योंकि ऐसी ज़रुरत नहीं थी।

पृथ्वी पर सभ्यत्ता जो विकसित हुयी है, वो भले ही टूटी हुयी एवं विभाजित है, लेकिन वो एक सभ्यत्ता है।

आपका देश, समाज दुसरे देशों और समाजों पर निर्भर होता चला गया है, ईश्वर की यही इच्छा थी, यही प्राकृतिक विकास की यात्रा है। यही ब्रह्माण्ड में अन्य बुद्धिशील प्राणियों के समूह में भी होता आया है।

इस समय आप ऐसी दहलीज पर खड़े हैं जहाँ आप संसार को सिमटता हुआ पाएंगे, जहाँ प्राकृतिक संसाधन कम हो रहे हैं, जहाँ स्थिरता घटती जा रही है, जहाँ जल और भोजन कम हो रहे हैं, ऐसे में बढ़ती हुयी मानव आबादी को विश्व में ऐसी हालातों का सामना करना पड़ेगा जहाँ आपको रहस्योद्घाटन की ज़रुरत पड़ेगी।

ईश्वर द्वारा भेजे गए सन्देश जो अब पुराने हो चले हैं वो आपको आने वाले बदलाव की विशाल लहरों से सुरक्षा नहीं दे पाएंगे। वे आपको ब्रह्माण्ड बिरादरी में नियति तक नहीं ले जा पाएंगे, वे आपको इस मुश्किल देहलीज़ के लिए तैयार नहीं कर पाएंगे, ऐसे बदलाव आपके संसार में शुरू हो चुके हैं एवं अधिक मात्रा में आने वाले हैं।

आने वाली परस्थितियों के लिए आपके पास हल नहीं है, इसीलिए यह उपदेश आपको दिए जा रहे हैं। मानवता को सचेत होना पड़ेगा, हमारे आशीर्वाद से ही आपका आगे का रास्ता प्रज्वलित होगा, क्योंकि जो आने वाला समय है वैसा समय पृथ्वी पर कभी नहीं देखा गया।

हमारे शब्दों को दिमाग से नहीं, दिल से सुनें। हमारे शब्द आपके भीतर जो गहरे में ज्ञान की परते हैं, उसको छूएंगे, यह ऐसी ज्ञान की परते हैं जो आपकी धारणाओं, विश्वास एवं मान्यताओं से परे हैं।

हमारे शब्द आपके इन गहरी परतों के साथ संवाद स्थापित करेंगे और इन गहरी परतों के साथ एक सामंजस्य बनेगा, ये परतें आपके भीतर में मौजूद हैं, आपके बुद्धि की परतों से भी गहरे में।

हमारा संवाद आपके भीतर गहरी परतों के साथ चल रहा है, ताकि इन परतों को बड़ा किया जा सके, बाहर लाया जा सके, कभी कभी आपकी सोच, आपके अनुभव और मान्यता इसके विपरीत हो सकते हैं।

आप तैयार नहीं थे, इसीलिए परमात्मा ने आपको तैयार करने के लिए यह सन्देश दिया है।

आप अनजान थे, इसीलिए परमात्मा आपको जगाने आये हैं।

आप असमंजस में हैं, परमात्मा आपको आपके ही केंद्र में छिपे निश्चय का रास्ता दिखा रहे हैं।

आप दुविधा में हैं, परमात्मा आपको इस दुविधा से बाहर निकलने का रास्ता दिखा रहे हैं।

आप स्वय को नीचा दिखाते हैं और दूसरों को भी नीचा दिखते हैं। परमात्मा आपको आपकी असली कीमत और संसार में आपका स्थान दिखा रहे हैं।

दुनिया बदल रही है और आप देख नहीं रहें हैं। परमात्मा ने आपको देखने के लिए आँखें और सुनने के लिए कान दिए हैं, पर आज आप जो कर रहे हैं, वो इसके अनुकूल नहीं है।

इस प्रवचन के बिना मानव जाती विफल होने जा रही है, दुनिया में अँधेरा, असुरक्षा और टकराव बढ़ता रहेगा।

मानव जाती अपनी गलतियों के चलते डगमगा रही है और विफल होने के रास्ते पर है, क्योंकि उसे आगे का रास्ता नहीं दिख रहा है।

संसार के संसाधन संघर्ष, विरोध अवरोध एवं युद्ध के लिए इस्तेमाल किये जायेंगे। जनता सरकारों के खिलाफ संघर्ष करेगी और समूह एक दुसरे के खिलाफ संघर्ष करेंगे।

आने वाले समय में इतने बड़े पैमाने पर टकराव होंगे जो इससे पहिले कभी नहीं हुए।

इन सब समस्याओं का समाधान हमारे प्रवचनों में छिपा है, इन में अपने भीतर की ताकत, बल एवं दृढ़ निश्चय की शक्ति के साथ जुड़ने के भी राज़ छुपे है।

इसके लिए ये ज़रूरी है कि आप अपने जीवन को गंभीरता से लें और जो ज़्यादा महत्वपूर्ण ज़रूरतें है उसपर ध्यान दें।

इसी लिए परमात्मा ने ये प्रवचन भेजे है।

यही रहस्योद्घाटन है, हम हीं रहस्योद्घाटन है ।

इस समय किसी व्यक्ति कि पूजा करने में अभिप्राय नहीं है, न ही किसी व्यक्ति को नायक बना कर मंच पर बिठाने से आपके प्रश्न हल होंगे, इस समय ज़रूरी ये है कि आप अधिक ज़िम्मेदारी निभाएं एवं अधिक ज्ञान का उपयोग करें।

आप इन परिस्थितियों से भाग नहीं सकते, न ही व्यक्तिगत मोक्ष के अनुभव से कोई हल निकलेगा।

स्वंय को धोखा देने से हल नहीं निकलेगा, पर ज़रुरत है ज़्यादा अनुकम्पा, ज़्यादा ज़िम्मेदारी, योगदान एवं बलिदान की।

इसी से विश्व को बचाया जा सकता है, इसी से मानव जाती की आज़ादी को बचाया जा सकेगा, क्योंकि स्वतंत्रता और स्वाधीनता अस्तित्व में विरले जगहों पर हैं, इसलिए इन्हें बचाना बहुत ज़रूरी है।

इसीसे व्यक्ति का आत्म सम्मान दुबारा लाया जा सकता है, आप की परिस्थिति जैसी भी हो, अपने योगदान की शक्ति आप अनुभव करेंगे और खुद के महत्व का भी अनुभव करेंगे।

इन शब्दों को सुनें – अपने विचार अलग रखकर, अपने विश्वास अलग रखकर और अपनी धारणाओं को अलग रखकर – इन शब्दों को अपने दिल से सुनें।

परमात्मा ने आपके भीतर जिसे बनाया है उसी से वार्तालाप कर सकते हैं। आपके विचार और विश्वास परमात्मा ने नहीं बनाये, आपके सामाजिक व्यक्तित्व को परमात्मा ने नहीं बनाया, आपके फैसले परमात्मा नहीं ले रहे हैं और आपकी नाकामयाबी या खेद में परमात्मा का योगदान नहीं है।

परमात्मा उसी से वार्तालाप कर सकते हैं जिसे उन्होंने बनाया है, जो कि ज़्यादा गहरे में है, जो व्यापक है और स्वाभाविक है।

नूतन दिव्य सन्देश आपके लिए एक पुकार है। अगर आप इस से अवगत हो चुके हैं तो आपको इस चुनौती से गुज़रना होगा कि इस सन्देश का आपके जीवन में क्या अर्थ होगा।

लोग इस सन्देश को इसलिए नकारेंगे क्योंकि वे बदलाव नहीं चाहते, वे अपनी धारणाओं को परखना नहीं चाहते, अपने विचारों और समाज में अपनी स्थति को बदलना नहीं चाहते।
वे इसके बारे में कोई संदेह नहीं कर पाएंगे, इसे टाल सकते हैं या इसके खिलाफ तर्क दे सकते हैं, क्योंकि उन्होंने अपने जीवन की जो कल्पना बना रखी है उसे बचाना चाहते हैं।

परमात्मा की इच्छा और बुद्धिमता के खिलाफ कौन तर्क देगा, अगर वो तर्क बनावटी आधारों पर टिका नहीं है तो?

आप देखेंगे कि प्रत्येक व्यक्ति इस दुविधा से गुज़रेगा या गुज़र रहा है। क्या वे अपने साथ ईमानदार हैं? जो देख रहें हैं और जो समझ रहे हैं उसके प्रति ईमानदार हैं? वे अपने खुद के प्रति कितने जागरूक हैं, अपनी परिस्थिति और आस पास की दुनिया के प्रति कितने जागरूक हैं? क्या वो अपने जीवन में सामंजस्य लाने की ज़िम्मेदारी लेने के लिए तैयार हैं? इसके लिए उन्हें ऐसे फैसले लेने पड़ेंगे जिनसे वो बचते आ रहे हैं।

आप देखेंगे की बुद्धि अपने आप को परमात्मा जानने लगी है, जबकि बुद्धि सिर्फ और सिर्फ नौकर की तरह है।परमात्मा ने बुद्धि को नौकर का ही दर्जा दिया था।

आप देखेंगे की अहंकार और अज्ञान एक साथ मिलकर, अपने ही खिलाफ जा रहे हैं, यह प्रवृत्ति काफी लोगों में है।

यह सन्देश आपको सहायता करेगा ये देखने के लिए कि क्या महान है क्या तृछ, क्या मज़बूत है और क्या कमज़ोर, क्या सही है और क्या गलत और क्या सिर्फ ढोंग कर रहा है मूल्यवान होने का।

ये प्रवचन इन सब रहस्यों को उजागर करेगा।

आपको निमंत्रण है कि जो आपके भीतर महान है उसके साथ रहें, उसका साथ निभाएं, और जो तृछ है उसे इस्तेमाल करें। इसके अलावा कोई दूसरा बीच का रास्ता नहीं है।

आप सब कुछ हासिल नहीं कर सकते, क्योंकि आप का भूत कल और भविष्य काल एक दुसरे से मेल नहीं खाएंगे।

निराशा और नाकामी के अनुभव के बाद ही आप ये जान पाएंगे कि जिस प्रकार का जीवन आपकी नियति है वो जीवन आप नहीं जी रहे हैं। आप ये जानेंगे कि आप अपने साथ कितने ईमानदार हैं तथा औरों के साथ कितने ईमानदार हैं – ये समय इस कठोर सचाई को जानने का है, अनुभव करने का है, और इसीलिए हम इसे रहस्योद्घाटन का नाम दे रहे हैं।

हमारे शब्दों को सुनें और पड़ें – अपने विचार, विश्वास, धारणाएं, अपना अहंकार, घमंड, बेवकूफी, अपने आप को बचाने कि प्रवुर्ति – इन सबको बीच में न लाएं, पर अपने भीतर के गहरे परतों तक इन्हें जाने दें, क्योंकि ये रहस्य आपके सामने खोले जा रहे हैं।

ये रहस्योदघाटन का एक हिस्सा है।